মাদার তেরেসা মানবসম্প্রদায়ের উদ্দেশে একটি প্রশ্ন নিক্ষেপ করেছিলেন, “যদি দৃশ্যমান মানুষকে ভালোবাসতে না পারো তবে অদৃশ্য ঈশ্বরকে ভালোবাসবে কি ভাবে?”
মাদার তেরেসা তাঁর সারাটি জীবন মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন, ভালোবেসেছেন দৃশ্যমান মানুষকে। কি ধর্ম, কি জাত, ছিলোনা কোনো বাছবিচার, শুধু মানুষ আর মানুষ!
অদৃশ্য ঈশ্বরের আরাধনা কতটুকু করেছিলেন তা না জানলেও কিংবদন্তী মা(!) মাদার তেরেসার মানবপ্রেম সর্বজন বিদিত।
আজ মানুষের বিবেকের জাগ্রত রূপ দেখে বিমুগ্ধ হচ্ছি। মানুষ মানুষকে সাহায্য করছে উদার হস্তে। এ রমজানের আগের রমজানে ধনীর টাকায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছিলো ক’জন তরুণ।
রমজান উপলক্ষে বিতরিত এ সব খাদ্যসামগ্রী দরিদ্র হিন্দু পরিবারকে দেয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলো না তরুণরা। শেষে তারা সিদ্ধান্ত নিলো, নিজেদের মধ্যে চাঁদা উঠিয়ে ঐ দুই পরিবারকে সাহায্য করবে। মানবতার ধ্বজাধারী তরুণেরা তা ই করলো। বড়ই প্রীত হলাম আমি।
আমাদের মানবতাবোধ ঊর্ধ্বগামী হচ্ছে দ্রুতগতিতে।
এবারের রমজান অতিবাহিত হলো বৈশ্বিক এক দুরবস্থার মধ্য দিয়ে। ধনী গরীব সবারই রুটিরুজিতে নেমে আসে বিপর্যয়। কিন্তু সামর্থবানেরা ছিলেন উদার হস্ত। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বিতরণ করে গেছেন অকাতরে। বৈশ্বিক এ দুর্যোগ এখনো চলমান। সামর্থবানদের উদারতায় না পড়ুক টান, সাধ্যানুযায়ী অব্যাহত থাকুক তাঁদের অকুণ্ঠ ভালোবাসার দান।
জয় হোক দৃশ্যমান মানুষের।
