দর্পণ ডেস্ক : সিলেটে ১১তম দিনে আরো ৮১ জনের রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ। অর্থাৎ ৮১ জনের কারো মধ্যে লক্ষণ নেই করোনার। এই নিয়ে সিলেটে মোট রিপোর্ট আসেলো ১১তম দিনে ১২ টি। ১২ রিপোর্টে মোট সংখ্যা ৮৬৯। এর মধ্যে ৮৬৫ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও ৪ জনের রিপোর্ট আসে পজেটিভ। পজেটিভ আসা চার করোনা রোগীর মধ্যে ২ জন সুনামগঞ্জ ও অপর দুইজনের বাড়ি সিলেটের জৈন্তাপুর ও গোয়াইন ঘাটে।
এর আগে ১৭ এপ্রিল দশম দিনে নেগেটিভ রিপোর্ট আসে আরো ৭৪ জনের। ১৬ এপ্রিল রিপোর্ট আসে দুটি ধাপে মোট ১৪০ জনের। এরধ্যে ১৩৮ জনের নেগেটিভ রিপোর্ট আসলেও পজেটিভ আসে দুইজনের।
সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাপসাতালে (সিওমেক) ৭ এপ্রিল থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ৮ এপ্রিল থেকে যথারীতি রিপোর্ট আসতে শুরু হয়েছে।
৮ এপ্রিল প্রথমে আসে ৯৪ জনের। যাদের প্রত্যেকের রিপোর্ট ছিলো নেগেটিভ। অর্থাৎ তাদের কেউই করোনায় আক্রান্ত নন। ৯ এপ্রিল আরো ২৪ জনের একইভাবে রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। ১০ এপ্রিল নেগেটিভ রিপোর্ট আসে ৩৫ জনের। ১১ এপ্রিল একইভাবে নেগেটিভ আসে আরো ৪৭ জনের। ১২ এপ্রিল রিপোর্ট আসে ১০৬ জনের। এর মধ্যে ১০৫ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও ১ জনের রিপোর্ট আসে পজেটিভ। পজেটিভ আসা ওই রোগী সুনামগঞ্জের। এবং তিনিই প্রথম সনাক্ত হওয়া সুনামগঞ্জের করোনা রোগী। ১৩ এপ্রিল রিপোর্ট আসে আরো ৯১ জনের। এর মধ্যে ৯০ জনের রিপোর্ট আসে নেগেটিভ এবং ১ জনের পজেটিভ। কাকতলীয়ভাবে পজেটিভ আসা ওই রোগীও মহিলা এবং একই জেলা সুনামগঞ্জের বাসিন্দা।১৪ এপ্রিল আরো ৮৯ জনের রিপোর্ট আসে নেগেটিভ এবং ১৫ এপ্রিল নেগেটিভ রিপোর্ট আসে আরো ৮৫ জনের।
ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের বরাত দিয়ে আনিসুর রহমান বলেন, এ পর্যন্ত সিলেটের বিভিন্ন স্থান থেকে সন্দেহজনক প্রায় ১ হাজার জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। তবে, শুধুমাত্র রিপোর্ট পজেটিভ হলে আমাদের জানানো হয় এবং নেগেটিভ হলে রিপোর্ট না আসলে আমরা ধরে নেই রিপোর্ট হয়েছে নেগেটিভ।
